কুমিল্লায় কাউন্সিলর ও তার সহকারীকে হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা-পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া।
নিহতরা হলেন মামলার ৩ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও মামলার ৫ নম্বর আসামি সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)। নিহতদের মরদেহ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া জানান, সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় মামলার কয়েকজন আসামি অবস্থান করছে—এমন খবরের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের অভিযানে নামে। সদর উপজেলার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের সংরাইশ বালুমহলসংলগ্ন এলাকায় ডিবি ও থানা-পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে ওই দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়।
গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কুসিকের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা (৫৫)। এ ঘটনায় আরও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।